টুসু পরব
আইন সভার হুকুম
কি বাহার,
হল, বাংলা ভাষার
বহিষ্কার।
হুকুম কি বাহার।
আইনসভার হুকুম
জারি চল্বে না বাংলা ভাষা।
বিহার দেশের আইন
কানুন দেখ লো কি সর্বনাশা ।
হুকুম কি বাহার।
মানভূমী সব গরীব
দুখীর দাবী দাওয়া জানাতে,
দেশের মাথা পাটনা
গেল গেল আইন বানাতে ।।
বাংলা মুলুক
মানভূমেরি প্রতিনিধি যে জনা,
তাদের টুঁটি ধরতে
টিপে সময় তাদের হ’ল না?
দেশের মাথা পাটনা
গেল ভোট দিল লক্ষ জনা,
এত জনার শুনতে
কথা বিচার তাদের হোল না।
আমরা হ’তে
চেয়েছিলাম অধিকারের ভাগীদার,
হিন্দি আইন
ঘুচালো সব করলো ব্যাপার চমৎকার।।
মানভূমিরা দেখ্
বুঝে, ভাই, পড়্যেছে কি মরণে।
বাংলা ভাষার আইন
সভার দাবী যে সেই কারণে।।
পুরুলিয়ায় টুসু
পরবের ছবি তুলতে যাওয়ার আহ্বান পাওয়ামাত্র ‘লোকসঙ্গীত রত্নাকর’ খুলে বসলাম। বাংলা
লোকগানের মণিমুক্ত ঠাসা বইটির পাতায় পাতায় টুসু গানের নমুনা ছড়ানো। প্রেম-ভালোবাসা,
অনুরাগ-কোন্দল, শাশুড়ি-নিন্দা, পুত্রকন্যার প্রতি ভালবাসার ছায়ামাখা গানগুলি একে
একে পেরোতে পেরোতে চোখ আটকে গেল এরকম কয়েকটি গানে। তখনো পুরুলিয়া বিহারের
অন্তর্গত। হিন্দি যাঁরা একবর্ণ বোঝেন না তাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এ ভাষা।
আদিবাসী মানুষ ভাবছেন তাঁদের ঠকিয়ে লুটে নিচ্ছেন হিন্দিভাষীরা। গানে গানে তাই
লড়ায়ের আহ্ববান। আজ যখন আমাদের মগজে ‘মস্তিষ্ক প্রক্ষালন যন্ত্র’ বসানোর আয়োজন
প্রায় সম্পূর্ণ, যখন আমাদের কথা বলতে হবে অন্য কারো ভাষায় অন্যের ভঙ্গীতে,
শিরোধার্য করতে হবে তাদের দেবতা নতুবা শিরচ্ছেদ
অবশ্যম্ভাবী তখন আবার জীবন্ত হয়ে উঠল গানগুলো। লোকসঙ্গীত এমনই যা মরেও
মরে না, মানুষের মনের গহনে ঘুমিয়ে থাকতে পারে আবার চেনা আগ্রাসী থাবার সামনে জেগে
উঠতেও তার সময় লাগে না। বৃহৎ বঙ্গের শিক্ষিত মানুষের কাছে ব্রাত্য হয়ে থাকা
রাঢ়বঙ্গের বুকের ভিতরে প্রেম ও আগুণের যে যুগলবন্দী তাকে না বুঝলে ক্ষতি
বাংলাভাষার। ক্ষতি বাংলাভাষী মানুষের বৃহৎ জগৎকে যাঁরা অনুভব করতে চান তাঁদের।
টুসু পরবের
খুঁটিনাটি আন্তর্জালের ঘেরাটোপের মধ্যে সামান্য সাঁতার কাটার চেষ্টা করলেই পাওয়া
যায়। কিন্তু যা পাওয়া যায় না তা হল জনমানসের হৃদয়ের স্পন্দন। তার জন্য বেরোতে হয়
বাইরে। এই যেমন এখন একটাও খবারের দোকান খোলা নেই। আজ পরব। আমাদের গাড়ির চালকের
মুখে হাসি কিন্তু মনে আক্ষেপ, আমাদের জন্য সে এই চকঝমক হলুদলালসবুজনীল শাড়ির মেলার
পাশে পা মেলাতে পারছে না। আজ পরব। হিন্দালকো কারখানার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া
সুবর্ণরেখা নদীর পাথরে পাথরে সুগন্ধী সাবান গুঁজে রেখে স্নানে নেমেছে যুবতী থেকে
বৃদ্ধা, বাকি নেই পুরুষেরা। আজ পরব। সকালে দাঁত না মেজেই আজ এসেছি তুলিনে, সংক্রান্তির
স্নান দেখতে। পুরুলিয়ার ঝালদা থেকে সামান্য দূরের জনপদ তুলিন, বিখ্যাত টুসুর মেলার
জন্য।কিন্তু টুসুর প্রাণ এর গানে। ছবির সঙ্গে কিছু গান শুনতে ও সংগ্রহ করতে পারব
এই আশা।
গান নির্ভর এরকম
উৎসব আর আছে কি না সন্দেহ। সবচেয়ে লক্ষ্যনীয় গানগুলির বিষয়ের ব্যাপ্তি। ভালো ফসলের আকাঙ্খায়
দেবদেবীর স্তুতি নয়, বরং আটপৌরে চাওয়া পাওয়া, রাজনৈতিক বিষয়, যৌনতা, ঈর্ষা সব
মিলিয়ে স্পন্দিত জনজীবন ঊঠে আসে টুসু পরব উপলক্ষ করে। শাস্ত্রনিয়ন্ত্রিত পুজো না
হলেও টুসু উৎসবের শুরুটা লৌকিক আচার পালনের মধ্য দিয়েই হ্য়। পৌষের প্রথম দিন প্রতিষ্ঠা
করা হয়টুসু। টুসুর প্রতীক নানারকম। মোটামুটি ভাবে থাকে একটি ভাঁড় বা সরা আর থাকে
গোবরের কয়েকটি গুলি বা নাড়ু, তাতে ভরা থাকতে পারে তুষ। প্রতিদিন সেই সরায় একটি
অন্তত ফুল দিয়ে টুসু বন্দনা হয় সন্ধ্যাবেলা। বন্দনার মাধ্যম হল সঙ্গীত। সারা পৌষ
মাস ধরে চলে এরকম সান্ধ্যকালীন গান। টুকরো টুকরো কয়েক স্তবকের গান থেকে পাঁচালি
পর্যন্ত নানা ধরণের গানের প্রচলন আছে। রামায়ণের কাহিনীও বাদ যায় নি। পৌষসংক্রান্তির
আগের দিন সারারাত গান গেয়ে হয় টুসুর জাগরণ। সংক্রান্তির দিন টুসুর ভাসান। তার পরের
দিন ‘আখান যাত্রা’ (আখ্যান যাত্রা)ভালো ফসলের কামনায় কিছু আচার পালন, বাড়ির
গুরুজনদের প্রণামের পরে শুরু হয় নতুন বছরের চাষাবাদের কাজ। যদিও আখ্যান যাত্রার
দিনও টুসুর ভাসান হয়। সেটি দেখতে আমরা গিয়েছিলাম পুরুলিয়া সংলগ্ন ঝাড়খন্ডের
বারেন্দা গ্রামে, সুবর্ণরেখার অপর পাড়ে। সেই বারেন্দার উলটো দিকে সতীঘাট।
বারেন্দার অধিবাসী সকলেই হিন্দিভাষী, কিন্তু তাঁরা যখন টুসু গান গাইছেন সেই গানের
ভাষা বাংলা। টুসু ভাসানের দিনকতক আগে চৌদল প্রস্তুত হয়। চৌদল অনেকটা হিন্দু
মন্দিরের প্রতিরূপ। হাল্কা কঞ্চি বা পাতলা ডাল দিয়ে বানানো চৌকোনো ফ্রেম নিচ থেকে
ক্রমে সরু হয়ে উপরে উঠে গেছে। সমস্ত কাঠামো রঙ্গীন কাগজ জরি,কাগজের ফুল, ভাঁজ করা
কাগজের চক্র, কাগজেরই লতাপাতায় মোড়ানো। গান গাইতে গাইতে এই চৌদল আর টুসু ঘট নিয়ে
মেয়েরা নদীতে ভাসান দিতে যান। উঁচু পথুরে পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে, কালো পিচরাস্তার
উপর দিয়ে কখনো বা ফসল কেটে নেওয়া হলুদ খেতের মধ্যে দিয়ে প্রখর রৌদ্রালোকে এই
অত্যুজ্জ্বল টুসু উঁচু করে তুলে ধরে জমকালো শাড়ি পড়ে মেয়েরা কখনো গাইতে গাইতে কখনো
নাচতে নাচতে যাচ্ছিলেন যখন,তখন এক অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম হচ্ছিল।
কিন্তু এরকম চৌদল
নিয়ে যেতে অতি অল্প লোককেই দেখেছি। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে হলে বারেন্দা গ্রামের দুটি চৌদল
ছাড়া আর কোনো চৌদল আমাদের নজরে আসেনি। তাও আগে থাকতে স্থানীয় লোক মারফৎ খবর সংগ্রহ
করে আমরা ওই গ্রাম থেকে টুসু বেরোনোর সংবাদ পাই, যদিও গ্রামবাসীর আপ্যায়ন ছিল
যথেষ্ট আন্তরিক।
টুসুর ভাসান
দেখতে সংক্রান্তির দিন গেলাম পুরুলিয়ার দেউলঘাটা। পর্যটকদের কাছে অতিপরিচিত জায়গা।
অন্যান্য সময়ে জায়গাটির মূল আকর্ষন হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো দুটি দেউল। এসময়ে
উপরি পাওনা টুসুর ভাসান। যদিও এখানেও চৌদলের পরিমান লক্ষ্যনীয় ভাবে কম। শুনতে
পেলাম এখন টুসুর চৌদলের প্রতিযোগিতা হয়। তা অতি জনপ্রিয়, পুরষ্কারমূল্যও ভালোই।
এইসব টুসু শুধু প্রতিযোগিতার জন্য বানানো হয়। অতিবৃহৎ এইসব চৌদল ভাঁজ করে রাখা
থাকে, আর প্রতিযোগিতাস্থলে জুড়ে দেওয়া হয়। স্বভাবতই সেগুলোতে আমাদের আগ্রহ ছিল না।
আমার মূল আগ্রহ
ছিল গানে, কিন্তু পরিস্থিতির ফেরে গান শুনতে পেলেও তা ধরে রাখার উপায় ছিল না। শুধু
মনে আছে গানগুলি করুণ রসের। মেয়ে বিদায় আর নারীজীবনের দুঃখের কথা তাতে বলা হচ্ছিল।
কিছু অন্য রকমের গানও ছিল। যদিও উচ্চকিত ঢোল ও জনকোলাহলে তা ডুবে যাচ্ছিল বারবার।
মেলায় গিয়ে গানের
শব্দ ক্ষীনতর হয়ে গেল। মন্ত্রীমশায় এসেছেন। মেলার জিনিসও রকমারি। আখ আর আখের রস
বিক্রি হচ্ছে দেদার। প্লাস্টিকের ফোলানো হাঁস উড়ে যাচ্ছে সমুদ্রের মতো নীল আকাশের
বুকে।জনতার কালো কালো মাথার ঢেউএ চড়ে তার মুখোমুখি হচ্ছে চৌদল আবার চলে যাচ্ছে নদীর
দিকে। তার আয়ু ক্ষণস্থায়ী। হাঁসেরা সব সুতোয় বন্দী। আকাশ যতই নীল হোক, তাদের উড়ে
যাওয়ার উপায় নেই। যেরকম উপায় নেই মেয়েদের-
বাপের ঘরে এমনি
সুখ, মা, কাঁখে ঘুইরা চালভাজা-
শ্বশুর ঘরে এমনি
দুখ, মা, লোক বুঝাতে যায়, মা ।।
তবু শ্বশুরবাড়ি
ফিরে যাওয়ার আগে কিনে নিতে হবে একটা পাই, চাল মাপবে, সে চাল যেন কোনদিন বাড়ন্ত না
হয়। একটা ভাঁজ করা সাপ কিনে দিতে হবে ছেলেকে, ঘুগনি খেতে হবে একবাটি। ব্যাস
আমারও একটা
আক্ষেপ রয়ে গেল। গান ধরা হল না। হাতে পেন্সিলের মত রয়ে গেল কিছু ছবি আর বইয়ের পাতা
থেকেই তুলে দিতে হল সেইসব গান যা চলে আসছে আবহমান কাল ধরে
টেলকো টাটার
লোহার কোম্পানী।
কত নূতন জিনিস
আমদানী ।।
নূতন জিনিস তৈরী
হবে, আসছে কত বিজ্ঞানী।
হাজার ফিটের ঘর
করি তাই, চার ধারে দেয় ছাহনী।।
কালে কামে শুনছি
আমি, আমেরিকার বিজ্ঞানী।
খাঁটি লোহার
জিনিস করে, বিদেশে দেয় চালানি।।
রাম গেছেন মা
মিরগ মারতে পথে পেলেন জোড়া বেল,
কোথায় ছিলেন
দুষ্টু রাবণ রামের বুকে মারল শেল।
ও রামের মা, ও
রামের মা, রাম কেনে ধূলায় পড়ে,
রামের মা যে
অভাগিনী ধূলা ঝেড়ে নে কোলে।
চল সারদা চল বরদা
কুলিতে বাঁধ বাঁধাব,
কুলির জলে সিনান
করব গরজে চুল শুকাব।
বেঞ্চিলতায়
বেঁধেছি মাথা, চুলের মহক ছুটে কলকাতা।
আয়না নেলো চিরুণ
নেলো মাথা বাঁধ গো রূপসী,
তোর রূপসী কে
দেখিবে কোলের পুরুষ বিদেশী।।
টুসু গেইখতে আলি তরা
বইসলি তরা
ছাঁচতলে
ডাবর ভর্যে মাঢ় রাখ্যেছি
খা ল তরা
প্যাট ভর্যে
আমাদের ঘরকে বইসতে গেলে
বইসতে দিব
শালপিঁড়া
খাতে দিব পাটরা কুঁড়া
মাইরব ল
ঝাঁটার মুড়া
আইসলি তরা ভালো করলি
বইসলি তরা
অইঠিনে
বাড়ির মশা ডাক্যে দিব
খাবেক
তদের চাম টান্যে।
আমাদের ঘরকে বইসতে গেলে
বইসতে দিব
ঢেইকশালে
পাটরা কুড়া সান্যে দিব
খাবি তরা
পেট ভর্যে
রাসমেলা দুগ্গা
ধুলা সে সকল মনে পড়ে,
পোষ মাসেতে টুসুর
গানে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙে,
ও সই, কলি যুগে
অন্য পুজা কি আছে টুসুর আগে
গাছের ওপর ছিলে
বসি তুই কি হনুমান।
হনুমান নই আমরা
বোঠি ভগবান ।।
আসন তলে কুল্হি কাদা
সোনার টুসু
যায় চল্যে
হায়রে গাঁইঠে নাইকো পয়সা
টুসু লিথম
দর কর্যে
কুইল্যাপালে লৈতন
সড়ক দু’পাশ সারি লোক চলে,
আমার টুসুর এমনি
চলন বিন্বাতাসে গা দোলে।
যা চলে যা হাওয়ার
গাড়ীতে
ঢোকে লাগলি বলে
হাওয়াতে।।
কলাতলে সরু বালি টুসু খেলা করে গো,
টুসুর মাকে বলে দাও গা টুসুর বিয়া দিতে গো।
টুসুর বিয়া যেমন তেমন হাজার টাকা খরচ গো।।
তুই দাঁড়া ন সঁগে যাব
একখিলি পান দুজনে খাব
তেঁতুলতলায় কে রে দাঁড়ায়
ধুরুক-ধুসা
খালভরা
আয় রে তকে মালা দিব
পুরুল্যারই
হল-করা
তিরিশটি দিন ছিলে টুসু তিরিশটি ফুল নিয়ে গো
আর রাখিতে লারি মা কে মকর হৈল বাদী গো
এতদিন যে ছিলে টুসু, মা বলে কভু ডাকলে না
যাবার বেলা রগড় হৈল মা কে ছাড়া যাব না।
আমার টুসু ফুল কর্যেছে
ঝাড়গাঁ-গড়ের রানীকে
মনে মনে চিঠি ছাড়ে
গুলাপ
ফুলের ভিতরে
আমার টুসুর একটি
ছেলে গো ফুল তোলে বই খেলেনা,
কোন ছিনারী ধুলা
দিল ধুলার দাগ তো গেল না।
ছি ছি লাজ লাগে না।
জলে হেল জলে খেল
জলে তুমার
কে আছে
মনে তে ভাবিয়ে দেখ
জলে শ্বশুরঘর
আছে
এই মনের বাসনা
টুসু মাকে জলে
দিব না
দেখতে লেগব টাটার
কারখানা ।।
আয় কে যাবি আয়
আমার কোলের টুসু
জলে যায়।
আমার টুসু দক্ষিণ যাবে হাতে দিব দশ টাকা,
মনে করে আনবে, টুসু্, হাতি দাঁতের দুধ শাঁখা
অনেক দিনের পরে দেখা হবে কলিমুড়ার জৈড়তলে।।
ঋণঃ
বঙ্গীয় লোকসঙ্গীত রত্নাকর- শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য
ঝাড়খন্ডী লোকভাষার গান- ধীরেন্দ্রনাথ সাহা
খুব ভালো হয়েছে। ছবি আর লেখা মিলিয়ে খুব সুন্দর। ছবির নিচে যদি জায়গাগুলোর নাম লিখে দিতেন বা চরিত্রগুলির নাম লিখে দিতেন আরো ভালো হতো।
উত্তরমুছুনহ্যাঁ, ছবি গুলো যেহেতু আলাদা আলাদা জায়গায় তোলা, সে পরিচিতিটা দিলে ভালো হত। তবে এবার খুব দ্রুততার সঙ্গে সব সারতে হয়েছে। আগামী বছর হবে
মুছুনলেখার সাথে ছবির নির্বাচন ও পরিবেশন বেশ ভালো হয়েছে যদিও এ ধরনের উপস্থাপনার জন্য ভিডিও রেকর্ডিং সম্পন্ন করা প্রভুত সাহায্য করত। সে ক্ষেত্রে পাঠক/ দর্শক টুসু পরবের স্থানীয় সংগীত বা লোকাচারের আস্বাদ পেতে পারেন। অবশ্য সে সুযোগ এই ব্লগে পাওয়ার উপায় আছে কিনা আমার জানা নেই
উত্তরমুছুনযাই হোক সর্বপোরী বেশ উঁচুমানের পরিবেশন।
পার্থ সারথি বোস
উত্তরমুছুনচমৎকার লাগল অভীরূপ। টুসুর সমাজচিত্র সুন্দর ফুটেছে লেখায়, ছবিতে। টুসু-গানের সঙ্গে পরিচয় করালো আপনার সংগ্রহের উদ্ধৃতিগুলি।
উত্তরমুছুন