পুরোনো জিনিসের মেলা/ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা
"পশ্চিমবঙ্গের পূজা-পার্বণ
ও মেলা" বইতে চব্বিশ পরগণার পূর্ব বিষ্ণুপুর গ্রামের একটি মেলার কথা লেখা আছে। মেলাটি
পৌষসংক্রান্তির দিন থেকে শুরু হয়ে তিনদিন চলে। বইতে মেলার নাম লেখা আছে ‘পৌষপার্বণের
মেলা’। বিষ্ণুপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যেত আদি গঙ্গা, এ ছাড়াও এখানে একটি শ্মশান আছে।
পৌষসংক্রান্তির দিন গঙ্গায় স্নান সেরে মেলা দেখার রেওয়াজ ছিল। স্থানীয় লোকেদের মধ্যে
অনেকেই তাই এই মেলাকে গঙ্গাস্নানের মেলাও বলেছেন। আদিগঙ্গা তো বুজে গিয়ে শেষ। মেলা
কিন্তু ক্রমবর্ধমান। সেদিনের তিনদিনের মেলা আজ সরকারী ভাবেই প্রায় দশ দিনের, আর মেলা গোটাতে গোটাতে এক মাস। বইয়ে
লেখা আছে মেলায় দোকানের সংখ্যা প্রায় তিনশত আর ফেরিওয়ালা জনাপঞ্চাশেক। আজও দোকানের
সংখ্যা একই রকম। বেড়েছে বই কমেনি। মেলার সামগ্রী হিসেবে ময়রা মিষ্টান্ন তামা পিতল কাঁচের
জিনিসপত্র মণিহারি ঔষধ পত্র বই ছবি কাপড়চোপড় এসবেরও উল্লেখ আছে। এখনো এগুলো বিক্রি হয়,
তবে নতুন জিনিস নয়,
সবই পুরোনো।
সেইটাই এখন এই মেলার মূল আকর্ষণ।
কেউ কেউ শ্রী চৈতন্যের নীলাচল যাত্রার সঙ্গে এই মেলার সংযোগ খুঁজেছেন। নীলাচল যাত্রার সময়ে চৈতন্যদেব ছত্রভোগ গ্রামে এসেছিলেন। এখানকার অধিপতি রামচন্দ্র খাঁ তাঁকে সমুদ্র পার করে ওপারে মেদিনীপুরে যেতে সাহায্য করেছিলেন। চৈতন্যদেবের সঙ্গে অনেক লোকলশকর ছিল, তারা নৌকোয় চেপে উচ্চস্বরে নাম সংকীর্তন শুরু করলে নৌকোর মাঝি ভয় পেয়েছিলেন। অনেকে বলেছেন চৈতন্যদেবের সঙ্গীরা তাদের সব জিনিসপত্র এপারে রেখে যাত্রা করেছিলেন। সেই থেকে পুরোনো বাতিল জিনিসের মেলা শুরু হয়েছে। যদিও এ কেবল গল্প কথা বলেই মনে হয়। তবে যে সময়ে শ্রীচৈতন্য নীলাচলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সে সময়ে গৌড় অধিপতির সঙ্গে উৎকল রাজের যুদ্ধ চলছিল। রামচন্দ্র খাঁ চৈতন্যদেবের নীলাচল যাত্রায় অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। শত্রুর আক্রমণের ভয় দূর করার জন্যই কি উচ্চস্বরে নামগান? আর নৌকাযাত্রায় অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে যাওয়াই তো বিধেয়।
পুরোনো জিনিস কেনাবেচার কথা বিশেষ ভাবে কোনো বইয়ে উল্লেখিত না হলেও কোলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে আর সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে পশ্চিমবঙ্গের বাকি প্রান্তে আজ এই মেলা ভাঙ্গা জিনিসের মেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ হয়েছে। শিয়ালদা- লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ধরে মথুরাপুর রোড স্টেশনে নেমে এক ফল বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করতেই বললেন- ভাঙ্গা মেলা তো? উলটো দিকে ঘুরে রেলগেটের পাশের রাস্তা ধরে বাঁদিকে বেঁকে সোজা চলে যান। ইতিপূর্বে পুরোনো জিনিসের মেলা কখনো দেখিনি। কোলকাতার রাস্তায় নানা রকমের পুরোনো জিনিস বিক্রি হয় বটে, আর সেসব জিনিসের বৈচিত্রও বিপুল। তবে সংগঠিত ভাবে কিছুদিনের জন্য অস্থায়ী দোকান বসিয়ে এই কেনাবেচার আয়োজন নিঃসন্দেহে অভিনব। বিশেষতঃ এরকম একটা গ্রামীন পরিবেশে যেখানে ক্রেতার চাহিদার বৈচিত্র কম বা একমুখী।
বিষ্ণুপুর গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বারবার ওই শ্মশান আর বুজে যাওয়া আদিগঙ্গার কথা বলেন। তাঁরা বলেন ওই শ্মশান আর গঙ্গা নিয়েই মেলা। অনেকে মনে করেন শ্মশান মানুষের শেষ আশ্রয়। তবে শ্মশান তো আর বসবাসের জায়গা নয়, সেখানে কেউ থাকে না। ইহলোকে যে শরীর মানুষ ধারণ করে শ্মশানে তা নষ্ট করে পরলোকে যাওয়া যায়। অবশ্য যারা পরলোকে যেতে পারে না তারা শ্মশানে থাকে। তারাই ভূত-প্রেত। একটা লেখায় পড়েছিলুম মানুষ মরার পরে প্রথমে বুঝতেই পারে না যে সে মরেছে, ক্রমে যখন সে বোঝে তখনও তার প্রিয় মানুষদের ছেড়ে যেতে চায় না। তাদেরই আশেপাশে ঘোরঘুরি করে আর অদৃশ্য হাতে তাদের মঙ্গলের চেষ্টা করে চলে। পুরোনো বাতিল জিনিসপত্রের মধ্যে এই মেলায় এক মহিলার ফোটোগ্রাফ দেখলাম। বিরাট ব্লো-আপ প্রিন্ট, কাচে বাঁধানো। মহিলার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, মাথায় ঘোমটা, সিঁদুরের টিপ, মুখে হাসি। ছবিটা কার জানা নেই। কেনই বা ছবিটি এই মেলায় বিক্রয়যোগ্য জিনিসের মধ্যে রাখা হল তা বোঝা দুষ্কর। মহিলা জীবিত কি না তাও অজ্ঞাত। তবে তাঁর ছবিটিও যে তাঁর প্রিয়জনের কাছে আজ অপ্রয়োজনীয় তা বোঝা যায় ছবিটি এই মেলায় স্থান পাওয়ায়। ধরে নিচ্ছি মহিলা জীবিত নেই, মৃত্যুর পরেও হয়ত তিনি তাঁর প্রিয়জনের শরীরের কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করেছিলেন, তাদের মঙ্গল কামনায় যথাসাধ্য সক্রিয়ও ছিলেন। তারপর আত্মীয়-স্বজনের মনে তাঁর মৃত্যু ঘটল। কামনা করি সেই সঙ্গে তাঁর প্রেতজীবনের ও মৃত্যু ঘটেছে।
মেলায় পৌঁছেছিলাম মেলা শুরুর বেশ কিছুদিন পরে। সেদিন আকাশে কালো মেঘ। বৃষ্টি এই নামে কি সেই নামে। চওড়া পিচরাস্তার এক পাশে মাঠের মধ্যে পুরোনো জিনিসের সারি সারি দোকান। সেদিকের পরিবেশ একটু অন্যরকম, ছমছমে। রাস্তার অন্য পাশে চিরপরিচিত মেলার দৃশ্য। ভেলপুরি, নাগরদোলা ফুচকার স্টলে ইহজগতের মায়া। স্বভাবিক ভাবেই বড় রাস্তা থেকে নেমে ছোট খাল পার করে পুরোনো জিনিসের মেলার মাঠে ঢুকলাম। গোটা মাঠ জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাজাগতিক ভ্যান। তাদের সবুজ টিনের চাদরের উপর বৃহৎ অক্ষিগোলকের মত দুটি হেডলাইট আর তার নিচে ঠোঁটের আকৃতির কিছু কারুকার্য, কিছু অতিরিক্ত ছোট আলো আর মাথার উপরে গোল স্টিয়ারিং, সব মিলিয়ে মহাশূন্যে যখন তখন উড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত একটা যান। সেই গাড়ির পিঠে বোঝাই পুরোনো সব জানালা। শুধুই জানালা। তার পাল্লা অক্ষত, তার গরাদের লোহা মরচেহীন, বিশাল চওড়া তার ফ্রেম। মহাকালের ঝড়-ঝাপটা এক ফুঁয়ে উড়িয়ে আরো বহুকাল সে টিঁকে থাকবে এইরকম প্রতিশ্রুতি তার সর্বাঙ্গে। এই সব জানালা নিয়ে অলৌকিক যান কেবলই ঘোরাঘুরি করছে মেলার মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। দোকানে দোকানে কোনো অদৃশ্য স্থান থেকে তুলে এনে নামিয়ে দিচ্ছে রাশি রাশি জানালা আবার দোকান থেকে তুলে নিয়ে পাকা সড়ক দিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে কোথাও। কৌতুহলী হয়ে দর করলাম। পাঁচশো থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হয় জানালার। কিনলে দোকানী ভ্যানে করে পৌঁছে দেবেন নিকটবর্তী বাস স্ট্যান্ডে, সেখান থেকে নিয়ে যান যেখানে খুশি। অবশ্যি যানবাহনে খরচা আপনার নিজের। সব বাড়ি ধ্বসে পড়ে একদিন, ইঁট পাথরে ক্ষয় ধরে, শরিকে শরিকে ভাগ হয়ে যায় পরিবার। কত মানুষকে ভিটে থেকে উচ্ছেদ হতে হয়, তবু জানালা কিন্তু বেঁচে থাকে, একটুকরো আকাশ দেখার জানালা সব মানুষেরই লাগে। হোক না সে অপরের জানালা, তা দিয়েও তো শেষ পর্যন্ত সেই আকাশই দেখা যায়। বাড়ি ভেঙ্গে গেলেও জানালার দরকার তাই থেকেই যায়।
মেলার কয়েক দিন বিক্রেতা দের ঘর সংসার জমে ওঠে মেলার মাঠেই। দুপুরে তাদের স্নান খাওয়ার পর্ব জমে উঠতে দেখলাম। এমনিতেই বেশ খানিকটা দেরিতে মেলা দেখতে এসেছি। অনুমান করলাম মেলার মূল কেনাকাটার জোয়ার হয়ত শেষ হয়েছে। বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বাচ্চারা জানালার স্তুপের মধ্যে লুকিয়ে খেলছে। বিরাট বিরাট রাজকীয় পালঙ্ক সাজানো রয়েছে নীল প্লাস্টিকের চাঁদোয়ার নিচে। লুংগি পরে সেই পালঙ্কেই দিবানিদ্রা দিচ্ছেন কেউ কেউ। গামছা নিয়ে পুকুরে স্নান সারতে যাচ্ছেন অনেকে। এরই মধ্যে খরিদ্দার এসেছেন সপরিবারে কেনাকাটা করতে। দরদাম করছেন খাটের। দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা দাম একেকটা পালঙ্কের। দোকানদার বলছেন এ জিনিস অক্ষয়, স্বামী-স্ত্রী শুধু নয়, তারা বুড়ো হলে নাতি নাতনী নিয়েও শোয়া যাবে এতে। পুরুষের সঙ্গে আসা স্ত্রী মায়ার হাত বোলাচ্ছেন খাটের কারুকার্যময় বাজুতে। বোঝা যায় পুরোনো খাট, তবু কত মজবুত। কালো পালিশ করা। কত স্বপ্ন কল্পনা কত যৌনতা মান অভিমানের স্মৃতিবাহী এই পালঙ্ক, তবু এক জীবনের তরঙ্গ আর ওঠাপড়া সহ্য করে আরেক জীবনে বয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আজও। প্রতিটি আসবাবই যেন সেই আত্মাদের মত যে বুঝতেই পারছে না সে মৃত, জীবিত মানুষদের কাছে পিঠেই সে ঘোরাঘুরি করছে আর অপেক্ষা করছে পুনর্বার আরেকটি রঙচঙে সংগরাগে বিরাগে মাখামাখি জীবনে প্রবেশের।
মেলার মাঠের ফাঁকা জায়গায় বসানো রয়েছে প্রাচীন একটি ওয়ার্ড্রোব। তার গায়ে লাগানো আয়নায় প্রতিফলিত হচ্ছে গোটা মেলা, আরেকটু দূরে একটি নিঃসঙ্গ আরামকেদারা। যত সময় যাচ্ছে এই পরাবাস্তব মেলাটির মধ্যে ঢুকে পড়ে নিজের চরিত্র বদলে যাচ্ছে অনবরত। কখনো মনে হচ্ছে গোটা উনিশ শতকের কঙ্কালের স্তুপের মধ্যে দিয়ে চলছি। কারুকার্যময় চিনামাটির ফুলদানি, কাঁচের টেবিল বিরাট বিরাট আলমারী, বাঁকানো হাতলের চেয়ার- থরে থরে রাখা রয়েছে, তবে দাম শুরু হচ্ছে দশহাজার টাকা থেকে। সে হিসেবে এ মেলা চার আনা ছ আনার মেলা নয়। মেলার আরেক দিকে রয়েছে ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামের দোকান। সে ও পুরোনো। পুরোনো প্রোজেক্টার মেশিন, সিডি, পুরোনো প্রিন্টার, টিভি, পাখা, সিডিপ্লেয়ার, সাউন্ডবক্স, রেডিও, টর্চ, ক্যামেরার স্ট্যান্ড, রিং ফ্ল্যাশ- নেই হেন জিনিস নেই। সবই পুরোনো। তবে সবটাই চালু অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও জিনিসের কোনো গ্যারান্টী নেই, আর বিক্রি হওয়া জিনিস ফেরতযোগ্যও নয়। তবু মানুষ কিনছেন আগ্রহভরে। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন জিনিসটি খুলে ভিতরের কলকব্জার অবস্থা দেখে তবেই কিনবেন, তবে তাঁদের সে আবেদন নাকচ হয়ে যাচ্ছে মূহুর্তে, আর অন্য কেউ এসে তুলে নিচ্ছেন।
হাতে আঁকা স্খলিতবসনা যুবতীর ছবিও রয়েছে আর রয়েছে একটি লেটার বক্স। চিঠির সেই বাক্সটিতে ঠিকানা লেখা। লেটার বক্সের পাশে এক নারীর সিলুয়েট, সামনে একটি পুরোনো মিক্সি। জমাট গৃহস্থালীর পূর্নাঙ্গ ছবি। লেটার বক্সটি যিনি কিনবেন হয়ত রঙ করে নতুন ঠিকানা লিখবেন তিনি, মিক্সার-গ্রাইন্ডার ও হয়ত মশলা পিষবে নতুন রান্নার, শুধু প্রিয় সংসার থেকে উৎপাটিত হওয়া মহিলার সিলুয়েট ছবিটি কোথায় যাবে? কে কিনবে সেটি? যার গৃহস্থালী নেই তেমন কোনো পুরুষ ? মহিলার মুখাবয়ব স্পষ্ট নয়। ঘরকন্নার ভাঙ্গাচোরা জিনিসপত্রের মধ্যে অত্যুজ্জ্বল ওই মহিলার সাদা কালো উপস্থিতি খুবই অস্বস্তিকর। এই মেলায় ঘুরলে শুধু মনে পড়ে তাদের কথা- যারা নেই, আর কোনোদিন আসবে না। শোনা যায় শুধু তাদের নিঃশ্বাস যারা ওই নেই থেকে আমাদের কাছে আসতে চায়।
মেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় একটি আশ্চর্য কেনা বেচার সাক্ষী হতে হল। একটি পুরোনো তাজমহল- তাজমহলের প্রতিরূপটি কাঁচের ঘেরাটোপে রাখা। কাঁচের গায়ে গুঁড়ো গুঁড়ো কাঠের হলুদ। ভিতরের মহলটি ক্ষয়ে গেছে কিছুটা। কাঁচটিও খানিকটা অস্বচ্ছ। তবে একটি মেয়ে সেটি কিনবে, সে কিনবেই। মরিয়া দরদাম চলল খানিক্ষন, সন্ধ্যে হয়ে এল, মেলার উত্তেজনা বেড়ে উঠল, মেয়েটির চাঁপার কলির মত আঙ্গুলে তখনো ধরা সেই পুরোনো ভাঙ্গা তাজমহল, দরদাম তখনো চলছে তো চলছেই। ক্রেতারা সবাই আসছেন অপরের ভাঙ্গা ঘর থেকে আসবাব আর সাজানোর উপকরণ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, কড়া দরাদরি আর টাকা গোনার খসখস শব্দের মধ্যে থেকে শেষ বিকেলের মরা আলোয় মেয়েটি সব ঘরের মর্মবস্তু ওই তাজমহলটি অবশেষে কিনে নিয়ে গেল। তার ভালোবাসার সেই মহলটি কেনার সক্ষী রইলাম আমি এইই বিরাট পাওয়া।
মেলার ছবি-
আসা যাওয়ার পথে
মহাজাগতিক ভ্যান
দোকানে জিনিসপত্র আনা-নেওয়া
মাথার পরে একটি বাড়ির ভার
জানালা আর জানালা
খেলিবার সাথী কই
ঘর নয় তবু ঘরের আরামে দু দন্ড
আহ্বান শোনো আহ্বান
যাবার সময় হল

বিস্মৃত হওয়ার আগে
যেতে যেতে চায় না যেতে
খুবই ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনখুবই ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনঅজানা কিছু জানতে পারলাম। ভীষন দেখার ইচ্ছে রইলো।
উত্তরমুছুন