ছবির খোঁজে হাজারীবাগে
বজ্রমানিক দিয়ে এবছর আষাঢ়ের মালা গাঁথা হল না। আকাশের গায়ের টক টক গন্ধটা না ধুয়েই যেন ডিও লাগিয়ে এসে পড়ল শরত। দারুন সব সূর্যাস্ত হতে লাগল নদীর ধারে, মাঠের পারে। এমন সময়ে প্রকৃতি একদিন জন কনস্টেবলের ছবির মত আকাশ আঁকলেন। সেই দেখে হাজারীবাগের দিকে রওনা দিলাম। হাইওয়ের সবুজ বোর্ডে সব মন কেমন করা জায়গার নাম পেরিয়ে গেল শাঁ শাঁ করে। গিরিডি তোপচাঁচি নিমিয়া ঘাট। দূরে পরেশনাথ পাহাড়ের মাথায় মায়াকুয়াশা। রাস্তার ধারে শরবতের ছাতুর সঙ্গে লঙ্কা লেবু পেঁয়াজের মহব্বত। মাত্র 15 টাকায় এক গ্লাস। ঠোঁটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এই গাঢ় প্রেমের স্বাদ ভুলতে সময় লাগে অনেক্ষন। বাগোদরের পরে হাইওয়ে ছেড়ে পথ ঢুকে গেল শালের জঙ্গলে। রোমহর্ষক ডাকাতির অনেক গল্প পল্লবিত হয়ে এ পথে ট্যুরিস্টদের ঝাঁক প্রতিহত করে রেখেছে বছরের পর বছর। রাস্তা এমনই মসৃন যে তাতে গুলি খেলার একটা পিলের মত গর্তও নেই। বিস্তৃত জঙ্গলের মাঝে ছোট শহর হাজারীবাগ। তার পর আবার জঙ্গল, সেই জঙ্গলের তলায় পাথুরে মাটি ঢেউ খেলানো। ঢেউয়ের মাথায় উঠলে দিগন্ত দেখা যায়। শালের সবুজ রঙে সূর্যের তেরচা আলো। পিছনে অনুচ্চ টিলা। এসে গেল বড়কাগাঁও। তারপর বিশ্রামপুর। তারও পরে ইস্কো...